উত্তরায় কিছু বন্ধুবান্ধব থাকায় মাঝেমধ্যেই ওই দিকে যেতে হয়, মিরপুরে থাকি তাই কালশি হয়ে যাতায়াতের রাস্তাটা ভালোই আর বাসও অনেক।
কিন্তু মেইন প্রবলেমটা হল সিটিং সার্ভিস!! সিটিং সার্ভিস মানে আমরা বুঝি বাড়তি প্যাসেঞ্জারের ঝামেলা নাই,এক একটি সিটের জন্য একজন করে প্যাসেঞ্জার,সিট ছাড়া বাড়তি কোন প্যাসেঞ্জার বাসের মধ্যে দাঁড়াইয়া বা ঝুলে থাকবে না আর প্যাসেঞ্জার ফুল হয়ে গেলে বাসের গেট বন্ধ এরই নাম সিটিং সার্ভিস। কিন্তু ঢাকা শহরের বেশী ভাগ সিটিং সার্ভিস বাস গুলাই এর ধার ধারেনা বিশেষ করে মিরপুর টু কালশি হয়ে উত্তরা গামী বাস গুলো।
এই রুটে যে বাসের সংখ্যা কত সেটা মনে হয় মালিক পক্ষও জানে না। যাত্রি থাক আর না থাক মিরপুর দশ নাম্বার ফায়ার সার্ভিসের সামনে কম হলেও ১০-১২ টা বাস সবসময় দাড়িয়ে থাকে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাবালে নুর,তেতুলিয়া,প্রজাপতি,বসুমতী ইত্যাদি।
এই বাস গুলার
মধ্যে সব গুলাই আবার সিটিং সার্ভিস!! এরা সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে
প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিন্তু দেখার যেন কেও নেই!!
আগারগাও থেকে তেতুলিয়া পরিবহণের একটি বাসে উঠলে তালতলা শ্যাওড়াপাড়া কাজিপারা
মিরপুর ১০,১১,১২
পূরবী কালশি ইসিবি চত্বর এমন কোন স্ট্যান্ড নাই যে এরা থামে না। আর মহা বিরক্তি
শুরু হয় খিলখেত থেকে, মানুষ যেন কাঁধের উপর ওঠে!! কোন সিট ফাকা না থাকা সত্তেও বাস
থামিয়ে ডেকে ডেকে মানুষ তোলে যেন মিরপুর টু আজিমপুর গামি ৭ নাম্বার বাস!!
শুধু
কুরিল ফ্লাইওভারের উপরে এদের সিটিং সার্ভিস বজায় রাখে, যাত্রি পেলে এই জায়গাটাও বাদ যেত না।
এটা শুধু
তেতুলিয়া পরিবহণের ক্ষেত্রে না এই রুটের প্রতিটি বাস সার্ভিসই এমন। এরা স্টুডেন্ট
ভাড়া মানে না বাসে পা দিলেই যেন ৩০ টাকা!!
বেশকিছু জায়গায় এদের চেকার নামক ধান্দাবাজ দাঁড়ানো থাকে যাদের হাতে ১০-১৫ টাকা ধরায়ে দিয়ে বাসের হেল্পার যাত্রীদের পকেট কাটা শুরু করে।
৪০-৫০ জন যাত্রির সময় বা টাকার মূল্য
এদের কাছে কিছুই না। এরা শুধু নিজেদের আঁখের গুছাতে বেস্ত।
সবাই দেখতেছে
সবাই বুঝতেছে কিন্তু কেও কিছু বলতে বা করতে পারছে না কারন আমার মত সাধারণ যাত্রীরা
এদের কাছে কিছুই না।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment