ঢাকায় নতুন আসা
ছেলেমেয়েদের
আড়ালে
আবডালে
খ্যাত
বলে অনেকেই পৈশাচিক আনন্দ পায়...ঢাকার শিক্ষিত স্মার্ট ছেলে মেয়েদের কাছে তাদের সব কিছুই যেন দৈনতা
রূপে প্রকাশ পায়!
তাদের কথায় একটা আঞ্চলিক টান থাকে... ইংরেজীতে আড়ষ্টতা থাকে, চেহারা ছবিতে লেগে থাকে বিস্ময়...আর শহরের ছেলেমেয়েদের মত করে কথা বলতে গেলে সমস্যাটা আরো বিকট হয়…
শুধু কথায় নয়, তাদের টান থাকে পকেটেও... নানা লাইফস্টাইলের এই ঢাকা শহরে পকেটের সে টান তাদের নিয়ে যায় এলাকার কোন বড় ভাইয়ের শেয়ারিং বেড, মেস কিংবা সাবলেট রুমে।
হোটেলে গিয়ে সকালের ব্রেকফাস্ট
দুপুরের লাঞ্চ বা রাতের ডিনার শব্দ গুলির সাথে তাদের পরিচয় নেই বললেই চলে।
বাসায় কাজের বুয়া না আসলে
সবাই মিলে রান্না করা আর স্যাঁতস্যাঁতে রুমের ভাঙ্গা মেঝেতে বসে খাওয়াটাও এদের নিয়মিত কাজ……কাঁটা চামচে খাওয়ার
অভ্যাস
তাই
হয়না,
যে অভ্যাসটা
হয়
তা
হল
ভাগাভাগি
করে
বাঁচতে
শেখা...।
বিশাল শপিং মলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে দাড়িয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে থেকে ওদের ঘাড়
লেগে
যায়, চলন্ত সিড়িতে পা রাখতে গিয়ে হিমশিম খায়..ওরা জানে পেছন থেকে
কেউ হয়তো হেসে উঠছে খ্যাত বলে……!
ওদের সমস্যা অনেক...ওরা এটা জানেনা, সেটা বোঝেনা...ওরা বড্ড বেমানান...
ওরা শব্দ করে চা খায়…অরা ছোট খাট জিনিস নিয়েও দামাদামি করে……ওরা খাওয়ার
শেষে হোটেলের ছেলেটাকে বকশিস দিতে যানে না…
ভ্রু কুঁচকানো এমন অনেক অবজ্ঞা ওরা দেখে, শোনে তারপরেও দাঁত কামড়ে লেগে
থাকে... কারণ মফঃস্বলের বাতাস ওদের বলে দিয়েছে “কিছু একটা করতেই হবে”
আর হৃদয়ে সদা বাঁজতে থাকে অসহায় বাবার কষ্টাসিক্ত সেই কথা "আর কতদিন বাজান"!!
.
প্রিয় মুখগুলো বাড়িতে ফেলে এসে এই শহরে রোদে পুড়ে, রাস্তার ধুলা খেয়ে, মানুষের
প্রিয় মুখগুলো বাড়িতে ফেলে এসে এই শহরে রোদে পুড়ে, রাস্তার ধুলা খেয়ে, মানুষের
অবহেলা বুক পকেটে জাপটে রেখেই ওরা তরতর করে এগোতে থাকে...
অসীম সহ্যক্ষমতা ওদের বুকে জন্ম দিয়েছে হার না মানা জিদ...
শহরটা একদিন ঠিকই চাবুক পিটিয়ে শাসন করে একসময়ের ঐ খ্যাতের দল...
করতালিটুকু তোলা থাকে তাদের জন্যই...
যেদিন খ্যাত থেকেই ওরা খ্যাতনামা হবে.......